দাফনের ২৮ বছর পরও ‘অক্ষত’ মরদেহ-দোহারের সংবাদ – দোহারের সংবাদ
  1. admin@doharersongbad.com : admin :
বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৬:৫৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দল ঘোষণা,নেই তামিম-দোহারের সংবাদ বান্দুরায় সড়কে চাঁদাবাজির ঘটনায় আটক যুবকের কারাদণ্ড-দোহারের সংবাদ দোহারে মোটরসাইকেল চাপায় পথযাত্রী নিহত-দোহারের সংবাদ কেরানীগঞ্জে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ১৫ সদস্য আটক-দোহারের সংবাদ শুক্রাণু দিলেই শিক্ষার্থীরা পাবেন লাখ টাকা-দোহারের সংবাদ ডাকাতির ফোন স্ত্রীকে উপহারই হোল কাল-দোহারের সংবাদ পানি এখনো সরেনি নিউমার্কেটের বেচাকেনা বন্ধ-দোহারের সংবাদ নারীরা কি জুমার জামাতে শরিক হতে পারবেন? দোহারের সংবাদ সাপে কাটার পর জীবিত সাপ নিয়ে হাসপাতালে হাজির রোগী-দোহারের সংবাদ কোনোটাই আমার নেই চিরকুট লিখে কলেজ ছাত্রের আত্মহত্যা-দোহারের সংবাদ

দাফনের ২৮ বছর পরও ‘অক্ষত’ মরদেহ-দোহারের সংবাদ

দোহারের সংবাদ ডেস্ক
  • আপডেট সময় : সোমবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ৮০ বার পঠিত

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় ২৮ বছর আগে দাফন করা এক ব্যক্তির মরদেহ অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার হয়েছে। মরদেহ এবং কাফনের কাপড়ও ছিল অক্ষত।

মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচর পৌরসভার ডেঙ্গুরভিটি গ্রামের ঘটনা এটি। সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পুনরায় ওই মরদেহ দাফন করা হয়েছে।জানা যায়, ওই গ্রামের বাসিন্দা মো. সাহেব আলী খান ৭২ বছর বয়সে ১৯৯৬ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান। পরে তাকে ডেঙ্গুরভিটি গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছিল।

মো. সাহেব আলী খানের ছেলে মো. মোবারক হোসেন খান বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে ইতালিতে বসবাস করে আসছি, গ্রাম থেকে ফোনে জানানো হয়েছে আমার বাবার কবরের ওপর দিয়ে রাস্তা যাচ্ছে। আমি কয়েকবার স্বপ্নেও দেখেছি বাবা বলেছে আমার কবরের ওপর দিয়ে রাস্তা যাচ্ছে, তুমি আমার কবরটা এখান থেকে অন্য জায়গায় সরিয়ে নাও। তখন আমি চাচা এবং গ্রামের লোকজনকে বলেছি দেশে এলে বাবার কবরটা এখান থেকে সরিয়ে নেবো। রোববার আমি ইতালি থেকে দেশে এসে হুজুরদের সঙ্গে কথা বলে ধর্মীয় নিয়ম মেনে আত্মীয় স্বজন ও এলাকার লোকজন নিয়ে বেলা ১১টার দিকে কবরের কাছে যাই।মোবারক আরও বলেন, কবর খুঁড়তেই সাদা কাপড় দেখতে পাই আমরা। একপর্যায়ে অক্ষত মরদেহ দেখে ওই জায়গা থেকে উত্তোলন করে আমার মায়ের কবরের পাশে দাফন করি। ২৮ বছর পরও বাবার মরদেহ অক্ষত দেখে সবাই হতভম্ব হন।এদিকে ২৮ বছরে মরদেহ কবরে অক্ষত থাকার খবর শুনে ওই বাড়িতে ভিড় জমান এলাকাবাসী। শুধু এলাকাবাসী নন, দূর-দূরান্ত থেকে অনেকে দেখতে আসেন মরদেহ।

মো. মোবারক হোসেন খান বলেন, আমার বাবা সাধারণ মুসল্লি ছিলেন। অনেক পরহেজগার ছিলেন তিনি। মরদেহ কবর থেকে তোলার পর দেখি কাফনের কাপড়ও পচেনি। ধরে দেখি কাপড়ের ভেতরে শুকনো দেহ আছে। প্রতিটি হাড়ের জোড়া শক্ত। হাত-পায়ের জোড়া বিচ্ছিন্ন হয়নি।

এ বিষয়ে ডেঙ্গুরভিটি গ্রামের আব্দুল গনি খান, মো. ফজলুল হক বকাউল ও ফয়সাল আহাম্মেদ বলেন, মো. সাহেব আলী খানের মরদেহ অলৌকিকভাবে ২৮ বছর পরও অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। ধর্মীয় রীতি মেনে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

ছেংগারচর বাজার আন-নুর ইসলামীয়া মাদরাসার মুহতামিম হাফেজ ক্বারি মাওলানা মাইনুদ্দিন খান বলেন, আল্লাহ নানাভাবে তার কুদরতের নিদর্শন দেখান। হয়তো এটি আল্লাহর একটি নিদর্শন। এমনও হতে পারে মো. সাহেব আলী খান আল্লাহর গ্রহণযোগ্য বান্দা ছিলেন। তাই অলৌকিকভাবে মরদেহ অক্ষত আছে। এ ধরনের মরদেহের গোসল ও জানাজা দেওয়ার প্রয়োজন নেই। ইসলামী শরিয়াহ অনুযায়ী স্থানান্তর করে দাফন করলেই হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা