হাতিয়া, নিঝুম ও কুতুবদিয়া দ্বীপকে শতভাগ বিদ্যুতের আওতায় আনার প্রকল্পের ব্যয় বেড়েছে। আগে ব্যয় ছিল ৩৮৪ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। এখন এটা বেড়ে দাঁড়াচ্ছে ৬৪৭ কোটি ১২ লাখ টাকা।
মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম।অনুমোদিত মূল প্রকল্পটি ২০২০ সালের জুলাই থেকে ২০২৩ এর জুনে শেষ হওয়ার কথা ছিল। নতুন করে এর মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত করা হয়েছে।হাতিয়া দ্বীপ শতভাগ বিদ্যুতায়ন, সাবমেরিন ক্যাবল দ্বারা মুকতারিয়া-নিঝুমদ্বীপ খাল পারাপার করে নিঝুম দ্বীপ ও কুতুবদিয়া চ্যানেল পারাপার করে কুতুবদিয়া দ্বীপ শতভাগ বিদ্যুতায়ন। হাতিয়া দ্বীপ, নিঝুম দ্বীপ ও কুতুবদিয়া দ্বীপের শতভাগ গ্রাহককে নির্ভরযোগ্য ও টেকসই বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় আনা।নতুন চারটি ৩৩/১১ কেভি উপকেন্দ্র নির্মাণ (হাতিয়া দ্বীপে তিনটি ও কুতুবদিয়া দ্বীপে একটি), মুকতারিয়া-নিঝুম দ্বীপ খালে ১ দশমিক ৫ কিলোমিটার ১১ কেভি সাবমেরিন ক্যাবল স্থাপন, কুতুবদিয়া চ্যানেলে ৫ কিলোমিটার ডাবল সার্কিট ৩৩ কেভি সাবমেরিন ক্যাবল স্থাপন করা। নতুন মোট এক হাজার ৪৮৬ কিলোমিটার বিতরণ লাইন, বিদ্যমান ৩৫ কিলোমিটার বিতরণ লাইন রেনোভেশন, ৩ হাজার ২৫০টি পোল মাউন্টেড বিতরণ ট্রান্সফরমার স্থাপন করা। অফিস ভবন কাম রেস্ট হাউজ, ডরমিটরি, সীমানা দেওয়াল ইত্যাদি নির্মাণ করন।
প্রকল্প সংশোধনের কারণ
বিতরণ লাইনের পরিমাণ ৮১০ কিলোমিটার বৃদ্ধি; পোল মাউন্টেড বিতরণ ট্রান্সফরমারের সংখ্যা ৫৫০টি বৃদ্ধি; বিভিন্ন পূর্ত কাজের পরিমাণ হ্রাস, বৃদ্ধি; ভূমি অধিগ্রহণ ২.০২ একর বৃদ্ধি) (খ) বিভিন্ন অঙ্গে ব্যয় হ্রাস, বৃদ্ধি এবং প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধি।
Leave a Reply