বড়ভাইকে কিডনি দিলেন ছোট ভাই-দোহারের সংবাদ – দোহারের সংবাদ
  1. admin@doharersongbad.com : admin :
বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৭:৪৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দল ঘোষণা,নেই তামিম-দোহারের সংবাদ বান্দুরায় সড়কে চাঁদাবাজির ঘটনায় আটক যুবকের কারাদণ্ড-দোহারের সংবাদ দোহারে মোটরসাইকেল চাপায় পথযাত্রী নিহত-দোহারের সংবাদ কেরানীগঞ্জে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ১৫ সদস্য আটক-দোহারের সংবাদ শুক্রাণু দিলেই শিক্ষার্থীরা পাবেন লাখ টাকা-দোহারের সংবাদ ডাকাতির ফোন স্ত্রীকে উপহারই হোল কাল-দোহারের সংবাদ পানি এখনো সরেনি নিউমার্কেটের বেচাকেনা বন্ধ-দোহারের সংবাদ নারীরা কি জুমার জামাতে শরিক হতে পারবেন? দোহারের সংবাদ সাপে কাটার পর জীবিত সাপ নিয়ে হাসপাতালে হাজির রোগী-দোহারের সংবাদ কোনোটাই আমার নেই চিরকুট লিখে কলেজ ছাত্রের আত্মহত্যা-দোহারের সংবাদ

বড়ভাইকে কিডনি দিলেন ছোট ভাই-দোহারের সংবাদ

দোহারের সংবাদ ডেস্ক
  • আপডেট সময় : রবিবার, ১৩ আগস্ট, ২০২৩
  • ১২৭ বার পঠিত

হবিগঞ্জের মাধবপুরে নিজের একটি কিডনি দিয়ে বড়ভাইকে বাঁচালেন ছোটভাই। উপজেলার চৌমুহনী ইউনিয়নের কমলপুর গ্রামের মানিক মিয়ার ছোট ছেলে আতাউল ইসলাম পলাশ ভ্রাতৃত্বের এমন দৃষ্টান্ত গড়লেন। বড় ভাইকে বাঁচাতে নিজের কিডনি দিয়েছেন তিনি।

শনিবার (১২ আগস্ট) ঢাকার বারডেম হাসপাতালে সফল অস্ত্রোপচার শেষে তারা দুই ভাই বর্তমানে চিকিৎসাধীন। ভাইয়ের জন্য ভাইয়ের এমন ভালোবাসা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে আলোচিত হচ্ছে। প্রশংসায় ভাসছেন ছোটভাই।খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কমলপুর গ্রামের বাসিন্দা মানিক মিয়া চৌমুহনী ইউনিয়ন পরিষদের দফাদার হিসেবে কর্মরত। তার তিন ছেলে। এদের মধ্যে সৌদি আরব প্রবাসী বড় ছেলের প্রতি ভালোবাসার অনন্য দৃষ্টান্ত গড়েছেন ছোট ছেলে। নিজের জীবনের কথা না ভেবে একটি কিডনি দিয়ে বড়ভাইয়ের জীবন বাঁচিয়েছেন তিনি।

পারিবারিক সূত্র জানায়, দুই বছর আগে পরিবারের আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সৌদি আরবে পাড়ি জমান মানিক মিয়ার বড় ছেলে সাইফুল ইসলাম সবুজ। এর মধ্যে হঠাৎ সবুজের কিডনির সমস্যা ধরা পড়ে। পরে তিনি সৌদি আরব থেকে দেশে চলে আসেন। বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চিকিৎসক জানান তার দুটি কিডনিই নষ্ট হয়ে গেছে। এরপর থেকে ডায়ালাইসিস করেও তার শারীরিক অবস্থার কোনো উন্নতি হচ্ছিল না।চিকিৎসকরা সবুজের দুটি কিডনি বিকল হয়ে যাওয়ার কথা জানিয়ে যত দ্রুত সম্ভব কিডনি প্রতিস্থাপনের কথা বলেন। এমন দুঃসংবাদে ভেঙে পড়ে পরিবার। পরিবারের পক্ষে সবুজের চিকিৎসার ব্যয় বহন করাও সম্ভব নয়। এক পর্যায়ে তার ছোটভাই আতাউল ইসলাম পলাশ ভাইকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেন। স্বেচ্ছায় নিজের কিডনি বড় ভাইকে দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানান। পরে শনিবার পরিবারের সবার মতামতের ভিত্তিতে ঢাকার বারডেম হাসপাতালে তাদের অস্ত্রোপচার হয়। চার ঘণ্টার অস্ত্রোপচারের পর এখন দুই ভাই সুস্থ আছেন।

সাইফুল ইসলাম সবুজের বাবা মানিক মিয়া কিডনি প্রতিস্থাপনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, অপারেশনের পর তার দুই ছেলেই সুস্থ আছেন।

চৌমুহনী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান সোহাগ বলেন, সবার সহযোগিতায় সবুজের কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। এটি ভাইয়ের প্রতি ভাইয়ের ভালোবাসার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা