ঈদের ছুটি শেষে কর্মস্থলে যোগ দিতে ঢাকায় ফিরে ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে খুন হওয়া পুলিশ কনস্টেবল মনিরুজ্জামান তালুকদারের মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। নিহতের মরদেহ নিয়ে গ্রামের বাড়ি শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার করুয়ার পথে রওনা হয়েছেন স্বজনরা।
শনিবার (১ জুন) বিকেলে রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে মনিরুজ্জামানের ফুফাতো ভাই জাকিরুল আলমের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করে পুলিশ।এর আগে শনিবার ভোর চারটার দিকে রাজধানীর তেজগাঁও থানার ফার্মগেট এলাকায় ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন পুলিশ কনস্টেবল মনিরুজ্জামান। পরে তাকে উদ্ধার করে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নেওয়ার পর তিনি মারা যান।নিহতের ভাই জাকিরুল বলেন, ভাইয়ের মরদেহ নিয়ে গ্রামের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হচ্ছি। সেখানেই দাফন সম্পন্ন হবে। তার মৃত্যুর খবরে গ্রামের লোকজন শোকাহত। কর্মস্থলে যোগ দিতে ভোরে সে ঢাকায় পৌঁছেছিল। তার এ মৃত্যু কেউ মেনে নিতে পারছে না।
তিনি জানান, গ্রামে মনিরুজ্জামানের স্ত্রী, দুই ছেলে ও মা-বাবা আছেন। পাঁচ ভাই ও এক বোনের মধ্যে মনিরুজ্জামান দ্বিতীয়। ২০০২ সালের সেপ্টেম্বরে তিনি পুলিশ বাহিনীতে যোগ দেন। দীর্ঘদিন ধরে ডিএমপির তেজগাঁও ট্রাফিক বিভাগে কর্মরত ছিলেন।কনস্টেবল মনিরুজ্জামানকে কে বা কারা ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেছে তা এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ। তার বাম হাত, কাঁধ ও পায়ে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। পুলিশের ধারণা, ছিনতাইকারীরা এ ঘটনা ঘটাতে পারে।
এ বিষয়ে ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) এইচ এম আজিমুল হক বলেন, পুলিশ সদস্য নিহতের ঘটনা শুনেছি। তাকে কী উদ্দেশ্যে হত্যা করেছে সে বিষয়ে আমরা এখনো নিশ্চিত নই। আশঙ্কা করছি, তিনি ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে মারা গেছেন।
জানা গেছে, ট্রাফিক পুলিশ সদস্য মনিরুজ্জামান ঈদের ছুটি শেষে ভোরে ঢাকায় ফেরেন। ট্রেন থেকে তেজগাঁও রেলস্টেশনে নেমে পায়ে হেঁটে কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন। পথে ফার্মগেটের সেজান পয়েন্টের সামনে তাকে ছুরিকাঘাত করা হয়।
Leave a Reply