সিলেট সিটি কর্পোরেশনের (সিসিক) নির্মাণাধীন বহুতল ভবনের ছাদ থেকে লোহার পাইপ পড়ে পথচারী এক সেনাসদস্য নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও এক পথচারী।
নিহত দেলোয়ার হোসেন (২৫) সিলেট সেনানিবাসের ৫০ ফিল্ট রেজিমেন্ট আর্টিলারীতে কর্মরত ছিলেন। তার বাড়ি মেহেরপুর জেলার গাংনী থানাধীন জগিরগোফার রায়পুর গ্রামে।শনিবার (০৩ জুন) বিকেল ৩টার দিকে সিটি কর্পোরেশনের মূলভবন লাগোয়া সিটি সুপার মার্কেটে এ ঘটনা ঘটে। ১২তলায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জামাল অ্যান্ড কোং. নির্মাণ কাজটি করছে।
এদিকে এ ঘটনার পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নির্মাণ সংশ্লিষ্ট ১৭ জনকে আটক করেছে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ। সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী মাহমুদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।ওসি জানান, বিকেল ৩টার দিকে সিটি সুপার মার্কেটের ভেতর দিয়ে যাচ্ছিলেন ল্যান্স কর্পোরাল দেলোয়ার হোসেন। এ সময় সিটি কর্পোরেশনের ১২তলা বিশিষ্ট নির্মাণাধীন ভবনের ছাদ থেকে হঠাৎ করেই একটি লোহার পাইপ ওই সেনা সদস্যের মাথায় পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।অপরদিকে ঘটনা তদন্তে ৭ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে সিলেট সিটি করপোরেশন। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ওই তদন্ত কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছেন সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।
তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নুর আজিজুর রহমানকে। সদস্যরা হলেন- গণপূর্ত বিভাগ সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী রিপন কুমার রায়, সিসিকের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আলী আকবর, শিক্ষা ও প্রকৌশল অধিদপ্তর সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী নজরুল হাকিম, সিসিকের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো. মতিউর রহমান খান, সিসিকের নির্বাহী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) রুহুল আলম ও সিসিকের নির্বাহী প্রকৌশলী রাজি উদ্দিন খান।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। তিনি বলেন, এ ধরনের ঘটনায় আমি মর্মাহত। আমি নিহত সেনা সদস্যের পরিবারের প্রতি গভীর শোক জানাচ্ছি। এ ঘটনায় ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। ৭২ ঘন্টার মধ্যে তারা প্রতিবেদন জমা দেবেন। আমি সেনা কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও কথা বলেছি। তদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply