খুবই ধীরগতিতে এগোচ্ছে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’। বর্তমান পরিস্থিতিতে ‘মোখা’র সুপার সাইক্লোনে পরিণত হওয়ার শঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। এটি উত্তর-পূর্ব দিকে বাঁক নিয়ে বাংলাদেশের দিকে এগোলে সতর্ক সংকেত বাড়ানো হবে।
বৃহস্পতিবার (১১ মে) বিকেলে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান এ তথ্য জানান।ঘূর্ণিঝড়টি আগামী রোববার সকাল থেকে দুপুরের মধ্যে বাংলাদেশের কক্সবাজার ও মিয়ানমারের উত্তর উপকূল অতিক্রম করতে পারে বলেও জানান তিনি।
আজিজুর রহমান বলেন, ‘মোখা’ অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় (ভেরি সিভিয়ার সাইক্লোন) হবে। এর পরের স্টেজ হলো সুপার সাইক্লোন। মোখার সেই স্টেজে যাওয়ার আশঙ্কা নেই।ঘূর্ণিঝড় মোখার এগোনোর গতি এখন খুবই ধীর হয়ে গেছে জানিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক বলেন, এটি এখন ঘণ্টায় ৮ কিলোমিটার বেগে উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে এগোচ্ছে। গতকাল (বুধবার) এর গতি ঘণ্টায় ১৫ থেকে ১৭ কিলোমিটার ছিল। আজ সকালে সেটি আটে নেমে এসেছে।তিনি বলেন, এটি এখনো বাংলাদেশের স্থলভাগ থেকে গড়ে ১২শ কিলোমিটার দূরে রয়েছে। ৮ কিলোমিটার বেগে এগোলে ১০০ কিলোমিটার যেতে ১৬ ঘণ্টা লাগবে। তাহলে ১২শ কিলোমিটার আসতে আরও কয়েক দিন লাগবে।
‘কিন্তু ঘূর্ণিঝড়ের এই গতি থাকবে না। উত্তর-পূর্ব দিকে বাঁক নেওয়ার পর এর গতি আরও বাড়বে।’
আজিজুর রহমান আরও বলেন, বর্তমান গতি এবং এরপর গতি বাড়লে এটি আগামী ১৪ মে সকাল থেকে দুপুরের মধ্যে স্থলভাগে আঘাত হানতে পারেন। সবগুলো পূর্বাভাস মডেল একমত যে, এটি বাংলাদেশের কক্সবাজার ও মিয়ানমারের সিত্তুই বন্দর এলাকার দিয়ে স্থলভাগ অতিক্রম করবে।
মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশ কম আক্রান্ত হতে পারে জানিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের ডানপাশে জলোচ্ছ্বাস বেশি হয়। ডান পাশে বাতাস এবং বৃষ্টিও বেশি হয়। ঘূর্ণিঝড়ের ডান পাশ পড়েছে মিয়ানমারের অংশে।তিনি বলেন, তারপরও আমরা শঙ্কামুক্ত না। কক্সবাজার ছাড়া অন্যান্য স্থানে বাতাস হবে না তা নয়। ভারী বৃষ্টি হবে, সঙ্গে বাতাসও থাকতে পারে। বরিশাল, ভোলা ও নোয়াখালী অঞ্চলে কিছুটা প্রভাব পড়তে পারে। মূলত প্রভাব পড়বে কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম।ছবি সংগৃহীত।
Leave a Reply