ঢাকার নবাবগঞ্জে ডিবি পুলিশে পরিচয়ে কোটি টাকার স্বর্ণালংকার ডাকাতির ঘটনার ১২ জন ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা জেলা পুলিশ। টানা সাতদিন রাজধানী ও এর আশপাশের জেলায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১৭৭ ভরি স্বর্ণ ও ৩৮৬ ভরি রৌপ্য, ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাস, ২টি ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সা, নগদ টাকা ও মোবাইল উদ্ধার করে পুলিশ। মঙ্গলবার (০৯ মে) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এসব তথ্য জানান ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মোঃ আসাদুজ্জামান পিপিএম।গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছেন, পাবনার জয়নগর এলাকার খন্দকার নুরুল ইসলামের ছেলে নুরুজ্জামান হোসেন ওরফে মুক্তার হোসেন (৫০), কুমিল্লার লাকসামের শ্রীয়াং গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে সালেহ আহম্মেদ সাইফুল ওরফে টাকলু সাইফুল (৪০) ও সহোদর ভাই নজির হোসেন (৩৫), মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের রমজান আলীর ছেলে মো ঃ হুমায়ুন কবীর (৫০), মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার মধ্যকামারগাও এলাকার মেছের আলীর ছেলে শাহাদাৎ গাজী (৩৫), টাঙ্গাইল জেলার দেলদুয়ার থানার গোয়ারিয়া থানার মৃত মুসলিম মিয়ার ছেলে মো ঃ মান্নান মিয়া (৪১), টাঙ্গাইল জেলার দেলদুয়ার থানার দড়িপাড়া গ্রামের আব্দুল্লাহ মিয়ার ছেলে মো ঃ হুমায়ুন মিয়া (৩৬), টাঙ্গাইল জেলার দেলদুয়ার থানার টুকনিখোলা গ্রামের মো ঃ শাহজাহান খানের ছেলে মো ঃ শাকিল খান (৩৫), টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর থানা করোরা গ্রামের মৃত আমিনুর রহমানের ছেলে জাহাঙ্গীর মল্লিক (৪২), টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর থানার নীলজার এলাকার দরবেশ শিকদারের ছেলে আব্দুস সামাদ শিকদার (৪৫), ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার আগলা মাঝপাড়া এলাকার মৃত মঙ্গল সরকারের ছেলে শ্যামল সরকার (৩৫), শেরপুর জেলার নকলা থানার বানেশ্বরদী এলাকার আবুল কালামের ছেলে রিপন মিয়া (২৮)।
এ সময় এসপি জানান, ৩০ এপিল সকালে নবাবগঞ্জের আগলা বাজারের ‘দিয়া জুয়েলার্সের’ মালিক কৃষ্ণ সাহা অটোরিক্সা যোগে টিকরপুর নিজ বাড়ি থেকে আগলা বাজারে যাওয়ার পথে আগলা পোষ্ট অফিসের সামনে থেকে তাকে পুলিশ পরিচয়ে মাইক্রোবাসে তুলে নেন ডাকাতরা। পরে মানিকগঞ্জের সিংগাইরে একটি নির্জন খাদের কাছে নিয়ে গিয়ে মারধর করে তার কাছে থাকা ১৫০ ভরি স্বর্ণ ও ২শ ভরি রুপা নিয়ে তাকে সেখানে ফেলে যায়। পরে এঘটনায় মামলা হলে অভিযানে নামে পুলিশ। এ ঘটনায় ৭ দিনের সিসি টিভির ফুটেজ ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ডাকাত চক্রের গ্যাং লিডার মোক্তারসহ ১২ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১৭৭ ভরি ১৫ আনা স্বর্ণ ও ৩৮৬ ভরি ৬ আনা রৌপ্য, ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাস, ২টি ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সা, নগদ টাকা ও মোবাইল উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরো জানান, সোর্সদের মাধ্যমে নিশ্চিত হয়ে পরিকল্পিতভাবে ডাকাতি করে চক্রটি। মূলহোতা মোক্তার বিদেশ থেকে ফিরে চক্রের সঙ্গে জড়িয়ে প্রতারণাসহ ডাকাতির কাজ করে আসছিলেন। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে বলেও জানান তিনি।
Leave a Reply