ঢাকার দোহারে অবৈধভাবে চলছে নৌ ঘাট। উপজেলার কুসুমহাটি ইউনিয়নের পুরুলিয়া মৌজায় এই ঘাটটি পরিচালনা করছেন বাহ্রা ঘাটের বাসিন্দা শুকুর খান সহ কয়েকজনে। অথচ এই পুরুলিয়া মৌজায় রয়েছে ঐতিহ্যবাহী বাহ্রাঘাট। যা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় হতে ৬৮ লাখ টাকায় ইজারা দেয়া হয় স্থানীয় আজিজ মোল্লা নামের এক ব্যক্তিকে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঘাটটি থেকে ট্রলারে করে যাত্রী ও মালামাল নিয়ে পদ্মা পারাপার হচ্ছে। তবে ঘাটের নেই কোন ইজারা বা কোন অনুমোদন।
স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, মাহমুদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আয়ূব আলী এই ঘাটটি টাকার বিনিময় শুকুর খান সহ কয়েকজনের কাছে বিক্রি করেন।
তবে শুকুর খানের সাথে কথা হলে তিনি জানান, ঘাটটি আয়ূব আলী নিজেই পরিচালনা করেন। টাকা দেয়ার বিষয়টি তিনি এড়িয়ে যান, তবে জানান তারা ঘাট থেকে ট্রলারে যাত্রী পারাপার করে থাকেন।
চেয়ারম্যান হয়েই যখন ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ আয়ূব আলীর দিকে তখন মুঠোফোনে তিনি জানান, এই ঘাটটি মৈনটঘাটের সীমানায় ছিলো। তাই আমি ঘাটটি চালু করেছিলাম। এখন জানতে পারি ঘাটটি বাহ্রাঘাটের সীমানায় পরেছে। ইউনোর নির্দেশনা অনুযায়ী ঘাটটি বন্ধ রাখা হয়েছে।
ঈদের আগে থেকেই অবৈধভাবে চলছে এই ঘাট। কোথাও থেকে নেয়া হয়নি কোন ইজারা বা অনুমোদন। এ দিকে অবৈধ ঘাটের জন্য প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হয় বলে জানান বাহ্রা ঘাটের ইজারাদার আজিজ মোল্লা ও তার সহযোগীরা। এ বিষয়ে আজিজ মোল্লার সাথে কথা তিনি জানান, মাহমুদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আইয়ূব আলী অবৈধভাবে এই ঘটটি ঈদের আগে চালু করে। যার সাথে জড়িত আছে বাহ্রাঘাটের শুকুরখান সহ কয়েকজন।
তিনি আরো অভিযোগ করে বলেন, অবৈধ ঘাটটির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় আয়ূব আলী চেয়ারম্যানের লোকজন আমার উপর হামলার চেষ্টা করেছিলো। এ বিষয়ে আমি দোহার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছি।বাহ্রাঘাটের ইজারাদার আজিজ মোল্লার অভিযোগের পর বিষয়টি অবগত হন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোবাশ্বের আলম। এবং অবৈধঘাটটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলেও জানান নির্বাহী কর্মকর্তা।
Leave a Reply