ঈদে বেতন-বোনাস চাইবো কোন মুখে,মালিক তো নিঃস্ব-দোহারের সংবাদ – দোহারের সংবাদ
  1. admin@doharersongbad.com : admin :
শুক্রবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৬:২০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
ঢাকা-৩ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন নসরুল হামিদ বিপু-দোহারের সংবাদ ঢাকা-১ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন সালমান এফ রহমান-দোহারের সংবাদ ৯ম শ্রেণির ছাত্রীকে নিয়ে প্রধান শিক্ষক উধাও-দোহারের সংবাদ মালয়েশিয়ায় একটি নির্মাণাধীন ভবন ধসে ৩ বাংলাদেশির মৃত্যু-দোহারের সংবাদ হৃদরোগে আক্রান্ত যুবদল নেতাকে ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে চিকিৎসার ছবি ভাইরাল-দোহারের সংবাদ লঘুচাপটি ঘনীভূত হয়ে,গভীর নিম্নচাপ ও শেষে ঘূর্ণিঝড়ে রুপ নিতে পারে-দোহারের সংবাদ কেরানীগঞ্জে পুলিশের উদ্যোগে হেলমেট বিতরণ-দোহারের সংবাদ এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় মেয়েরাই এগিয়ে-দোহারের সংবাদ বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে ৫০ বছরের নারীর অনশন-দোহারের সংবাদ ঘূর্ণিঝড় মিধিলির পর এবার আসছে মিগজাউম-দোহারের সংবাদ

ঈদে বেতন-বোনাস চাইবো কোন মুখে,মালিক তো নিঃস্ব-দোহারের সংবাদ

দোহারের সংবাদ ডেস্ক
  • আপডেট সময় : বৃহস্পতিবার, ৬ এপ্রিল, ২০২৩
  • ১৪৭ বার পঠিত

ঈদ ঘিরে প্রতি বছর জমে ওঠে রাজধানীর বঙ্গবাজার। দোকানে নতুন পোশাক তোলেন ব্যবসায়ীরা। কেনাকাটার ব্যস্ততায় দরকার হয় অতিরিক্ত কর্মচারীর। ঈদের এই ব্যস্ততা সামাল দিতে দোকানিরা রাখেন বাড়তি কর্মচারী। আবার এ সময়ে উৎসবে খরচ জোগাতে অনেক তরুণ-যুবক বঙ্গবাজারের বিভিন্ন দোকানে বিক্রয়কর্মী হিসেবে কাজ নেন। চাঁদরাত পর্যন্ত চলে কেনাবেচার ব্যস্ততা। ভালো ব্যবসা হলে দোকানিরা কর্মচারীদের বেতনের পাশাপাশি দেন বাড়তি বোনাসও। যাতে তাদের ঈদ আনন্দ বেড়ে যায় বহুগুণ।

তবে স্মরণকালের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই হয়েছে বঙ্গবাজার। নিঃস্ব হাজারো ব্যবসায়ী। এতে আসন্ন ঈদের আনন্দ দুই সপ্তাহ আগে ফিকে হয়ে গেছে বঙ্গবাজার ঘিরে যাদের রুটি-রুজি, সেসব দোকান কর্মচারীর পরিবারেরও। অধিকাংশ কর্মচারীকে এবার ঈদে গ্রামের বাড়ি ফিরতে হবে শূন্য হাতে। এমন পরিস্থিতিতে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছে কয়েক হাজার দোকান কর্মচারীর।তাদের মতোই একজন রনি। ঈদ মৌসুম এলে বঙ্গবাজারে বিক্রয়কর্মীর কাজ নেন তিনি। রনি বলেন, ‘প্রতি বছর ঈদের আগের এক মাস এ মার্কেটে কাজ নিই। বেতন-বোনাস যা পেতাম, তা দিয়ে নিজের এবং পরিবারের ঈদ খরচ ভালোভাবে হয়ে যেতো। ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়ি ফেরার সময় সবার জন্য কেনাকাটা করে নিয়ে যেতাম। এবার তো সব শেষ। মালিকেরও সব শেষ। এখন কীভাবে যে চলবো, ঈদে পরিবারকে কী খাওয়াবো, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি।ইমরান গার্মেন্টসের বিক্রয়কর্মী ফেরদৌস বলেন, ‘এখানে (বঙ্গবাজারে) মালিকের ৬-৭টা দোকান ছিল। বেশিরভাগই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তেমন কোনো মালামাল রক্ষা করতে পারিনি। এবার মালিকের যে লোকসান হলো, উনার কাছে বেতন-বোনাস কীভাবে চাইবো? গত মাসের বেতন এখনো পাইনি। পরিবার নিয়ে কীভাবে ঈদ কাটাবো? কিছুই ভাবতে পারছি না।’

তিনি বলেন, ‘প্রত্যেক দোকানে পাঁচ-ছয়জন করে বিক্রয়কর্মী থাকে। মালিকরা নিঃস্ব হয়ে গেছেন। কর্মচারীরাও হঠাৎ কাজ হারিয়েছেন। সামনে ঈদের কোথায় কাজ পাবে? ঈদ উৎসবের চেয়ে এখন আমাদের বড় চিন্তা কোথায় কাজ পাবো?বিসমিল্লাহ ফ্যাশনের মালিক সুমন দেওয়ান বলেন,সব দোকান পুড়ে শেষ। সবারই ৪০-৫০ লাখ টাকা করে ক্ষতি হয়েছে। দোকান নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। বিক্রয়কর্মীদের কিছু দেওয়ার অবস্থাও তো নেই। অনেকের দুই মাসের বেতন বকেয়া। বোনাসসহ চাঁদরাতে বেতন দেওয়ার কথা ছিল। আগুনে তো সব শেষ। এখন কর্মচারীদের বলেছি বাড়ি চলে যেতে। আবার কিছু করতে পারলে তাদের ডাকবো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা