আশির দশক পর্যন্ত বাংলাদেশের মানুষ জাহাজে করে পবিত্র হজ পালনে যেতেন। তখন সময় লাগতো ৩ মাস। পরে জাহাজে যাত্রা বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে কেবল সুদান থেকে জাহাজে করে হজে যাতায়াতের সুযোগ রয়েছে। ২০১৮ সাল থেকে সুদানের নাগরিক জাহাজে করে হজ পালনের জন্য যাতায়াত করে থাকেন।
এবার বাংলাদেশ থেকে জাহাজে করে হজযাত্রীদের যাতায়াতের অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছে কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্স। কর্তৃপক্ষ জানায়, জাহাজে হজ পালনে যেতে সময় লাগবে ১০ দিন। বিমানের তুলনায় খরচও হবে অনকে কম।
বাংলাদেশের হজযাত্রীদের জন্য সমুদ্রপথে জাহাজ নামাতে চেয়ে কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্স লিমিটেড বলছে, চট্টগ্রাম বন্দর থেকে সৌদি আরবের জেদ্দাবন্দরে যেতে জাহাজে সময় লাগবে ১০ দিন। যাওয়া-আসা ও হজের আনুষ্ঠানিকতা মিলিয়ে একজন হজযাত্রীর মোট সময় লাগবে ৩৭ দিন। জাহাজে গেলে উড়োজাহাজের চেয়ে এক থেকে দেড় লাখ টাকা খরচ কম হবে।
সমুদ্রপথে জাহাজ চলাচলের অনুমতি দিতে প্রতিষ্ঠানটি নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছে। গত ২৯ জানুয়ারি প্রস্তাবটি নিয়ে সচিবালয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা হয়।
নৌপরিবহণ সচিব মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে সভায় সমুদ্রপথে হজযাত্রী নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে মতামত আসে। কেউ কেউ জাহাজে করে হজ করতে যাওয়াকে ইতিবাচক বলেছেন। নানামুখী চ্যালেঞ্জের কথাও তুলে ধরেছেন কেউ কেউ। সমুদ্রপথে সৌদি আরব সরকার অনুমতি দেবে কিনা, তা-ও নিশ্চিত নয়।
নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, সভায় সিদ্ধান্ত হয়, প্রস্তাবটি প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হবে। সেখান থেকে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া গেলে সৌদি সরকারের সঙ্গে আলোচনা শুরু হবে। দেশটি রাজি হলে তখন অন্যান্য প্রক্রিয়া শুরু হবে।
উল্লেখ্য, কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে সেন্ট মার্টিনে পর্যটক পরিবহন করে থাকে কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্স লিমিটেড। এবার তারা হজযাত্রীদের যাতায়াতে সরকারের অনুমোদন চেয়েছে।
Leave a Reply