শিশুর কান্নায় ভেঙে যাওয়া সংসার জোরা লাগলো-দোহারের সংবাদ – দোহারের সংবাদ
  1. admin@doharersongbad.com : admin :
বুধবার, ২২ মার্চ ২০২৩, ১১:৪৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
আজ ৩৯ হাজার ৩৬৫ পরিবার পাচ্ছে নতুন ঘর-দোহারের সংবাদ দোহারে ইকরাশী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত-দোহারের সংবাদ দোহারের মাহমুদপুরে আগামীকাল ঘর পাবে ১৯ গৃহহীন পরিবার-দোহারের সংবাদ বৃষ্টি হতে পারে আজও, সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া-দোহারের সংবাদ বৈরী আবহাওয়া সেন্টমার্টিনে জাহাজ চলাচল বন্ধ, আটকা হাজারো পর্যটক-দোহারের সংবাদ দোহারে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন-দোহারের সংবাদ মহানায়কের জন্মদিন আজ-দোহারের সংবাদ কলেজ গেটে ফেস্টুন টাঙিয়ে প্রেমিকাকে ফিরে আসার আহ্বান প্রেমিকের-দোহারের সংবাদ বাংলাদেশ এখন কৃষি ও প্রাণিজ খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ণ: সালমান এফ রহমান-দোহারের সংবাদ কেরানীগঞ্জে অবৈধ ইটভাটায় অভিযান ২০ লাখ টাকা জরিমানা-দোহারের সংবাদ

শিশুর কান্নায় ভেঙে যাওয়া সংসার জোরা লাগলো-দোহারের সংবাদ

দোহারের সংবাদ ডেস্ক
  • আপডেট সময় : বৃহস্পতিবার, ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
  • ২৯৪ বার পঠিত

মনোমালিন্যের জেরে স্বামী-স্ত্রীর বিচ্ছেদ হয়। পরে স্বামীর বিরুদ্ধে যৌতুক মামলা করেন স্ত্রী। সেই মামলার শুনানি চলাকালে তাদের একমাত্র শিশু সন্তানের কান্নায় চোখ আটকে যায় আদালত কক্ষের বিচারকসহ উপস্থিত সবার।

শেষ পর্যন্ত হস্তক্ষেপ করেন বিচারক নিজেই। আদালতের একটি মানবিক উদ্যোগের পর ভেঙে যাওয়া সংসার আবারও জোড়া লেগেছে। আদালত কক্ষেই তাদের বিয়ের আয়োজন করা হয়।বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) রাজশাহী মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে-২ এ এমনই ঘটনা ঘটেছে।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, রেলওয়ে কর্মচারী শিমুল পারভেজের সঙ্গে ২০২১ সালের ২ এপ্রিল জান্নাত ফেরদৌসের বিয়ে হয়। তাদের বাড়ি রাজশাহীর পবা উপজেলার কাঁটাখালী এলাকায়। নিজেদের মধ্যে মনোমালিন্যের জেরে গতবছরের অক্টোবরে তাদের সংসার ভেঙে যায়। গত ১২ অক্টোবর শিমুলের বিরুদ্ধে আদালতে যৌতুক মামলা করেন জান্নাত ফেরদৌস।বৃহস্পতিবার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদুজজামানের আদালতে মামলার জামিন শুনানি চলছিল। আসামির কাঠগড়ায় শিমুল এবং সাক্ষীর জায়গায় দাঁড়িয়ে ছিলেন মামলার বাদী জান্নাত ফেরদৌস। কোলে তার ছয় মাসের শিশুটি কাঁদছিল। জান্নাতের চোখ গড়িয়েও পড়ছিল পানি। এসময় মাথা নিচু করে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে ছিলেন শিমুল। দুই পক্ষের আইনজীবী পক্ষে-বিপক্ষে তাদের বক্তব্য রাখছিলেন।ওই সময়ই আদালতের দৃষ্টি পড়ে ছোট্ট শিশুটির ওপর। আদালত তাদের কাছে জানতে চান শিশুটির ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে বাদী ও আসামি আপস করতে চার কিনা। তখন জান্নাত ও শিমুল পরস্পরের বিপক্ষে অভিযোগ করতে শুরু করেন। দোষ ত্রুটি উল্লেখ করেন দুজনই।

এসময় আদালত তাদের উদ্দেশে কিছু উপদেশমূলক কথা বলেন। তাদের ছোট্ট সন্তানের ভবিষ্যতের কথাও বলেন। একপর্যায়ে তারা দুজনই আপস করতে রাজি হন। এজন্য আদালতের মধ্যস্থতা চান। এসময় দুই পক্ষের আইনজীবীর অনুরোধে আদালত তার বিচারকার্য শেষে আদালত কক্ষের ভেতরেই উভয় পক্ষের আইনজীবী, অভিভাবক ও বার সমিতির নেতাদের উপস্থিতিতে কাজি ডাকেন। পরে এক লাখ টাকা দেনমোহরে পুনরায় তাদের বিয়ে দেওয়া হয়। বিয়ে শেষে সবাইকে মিষ্টিমুখ করানো হয়।সূত্র আরও জানায়, পরে আদালতের বিচারক মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদুজজামান স্বামী-স্ত্রী দুজনকেই তার খাস কামরায় ডেকে নিয়ে সুন্দর করে সংসার করার উপদেশ দেন। শিশুটিকে কোলে নিয়ে কিছুক্ষণ আদরও করেন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী রেবেকা সুলতানা বলেন, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদুজ্জামান স্যার মানবিক বিচারের দৃষ্টান্ত স্থাপন করে যাচ্ছেন। তার আন্তরিক প্রচেষ্টায় আদালত কক্ষে এ ব্যতিক্রমী বিয়ের আয়োজন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে একটি সংসার জোড়া লাগলো। ছবি সংগৃহীত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা