মধ্যরাতে ইলিশ ধরার অপেক্ষায় জেলেরা – দোহারের সংবাদ
  1. admin@doharersongbad.com : admin :
শনিবার, ০১ এপ্রিল ২০২৩, ০৪:৩৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
দুইশত পরিবারে হাসি ফোটালো ১০ টাকার ইফতার বাজার-দোহারের সংবাদ পাপ মোচনে লাঙ্গলবন্দে আসছেন পুণ্যার্থীরা-দোহারের সংবাদ বাবাকে রক্ত দেয়ার ১২ঘন্টা পর ছেলের মৃত্যু-দোহারের সংবাদ দোহারে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপিত-দোহারে সংবাদ দোহারে ভেকু দিয়ে চলছে কৃষি জমির মাটি কাটার মহোৎসব-দোহারের সংবাদ আজ মহান স্বাধীনতা দিবস-দোহারের সংবাদ দেশবাসীকে স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী-দোহারের সংবাদ ৭০ বছরে এসে বিয়ে-দোহারের সংবাদ আজ ৩৯ হাজার ৩৬৫ পরিবার পাচ্ছে নতুন ঘর-দোহারের সংবাদ দোহারে ইকরাশী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত-দোহারের সংবাদ

মধ্যরাতে ইলিশ ধরার অপেক্ষায় জেলেরা

দোহারের সংবাদ ডেস্ক
  • আপডেট সময় : শুক্রবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২২
  • ৪৯ বার পঠিত

ইলিশ শিকারে টানা ২২ দিনের সরকারি নিষেধাজ্ঞা শেষ হচ্ছে আজ শুক্রবার (২৮ অক্টোবর)। ফলে মধ্যরাত থেকে সাগর ও নদীতে মাছ শিকারে নামতে পারবেন জেলেরা। এরই মধ্যে সাগরে নামতে সব প্রস্তুতি শেষ করেছেন বিভিন্ন জেলার জেলেরা।

জেলেদের অভিযোগ, দেশের জলসীমায় ভিনদেশি জেলেদের উৎপাতে তারা স্বাচ্ছন্দ্যে মাছ শিকার করতে পারেন না। তবে মৎস্য বিভাগ বলছে, জেলেদের স্বাচ্ছন্দ্যে মাছ শিকারে সব ধরনের পদক্ষেপ নেবে তারা।খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম হওয়ায় ৭ অক্টোবর থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত সাগর ও নদীতে মাছ শিকারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে সরকার। টানা ২২ দিন পর আবারও নিজ পেশায় ফিরতে পারবেন বলে খুশি জেলেরা। নিষেধাজ্ঞার সময় বিকল্প কর্মসংস্থান না থাকায় ধারদেনা করে চালিয়েছেন অনেক জেলে। জালে কাঙ্ক্ষিত ইলিশ ধরা পড়লে সেই ধারদেনা শোধ করে ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন বলে আশাবাদী তারা।

তবে জেলেদের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে ভারতীয় জেলেদের উৎপাত ও অত্যাচার। বাংলাদেশের জলসীমায় ঢুকে মাছ শিকার করে নিয়ে যায় তারা। তাই এ অত্যাচারের হাত থেকে রক্ষা পেতে নৌবাহিনীর টহল বাড়ানোর জানিয়েছেন জেলেরা।বিভিন্ন জেলে পাড়া ঘুরে দেখা যায়, জেলেরা সাগরে নামার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তাই এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। কেউ জাল ঠিক করছেন আবার কেউ নৌকা মেরামত করছেন। মধ্যরাত হলেই সাগরে নেমে পড়বেন মাছ ধরার উদ্দেশ্যে।

তাদের সাথে কথা বলেলে তারা জানান রাতেই ইলিশ ধরতে নামতে পারবো। আবারও আমাদের সংসারের চাক ঘুরবে। সাগরে নামতে সবকিছুর প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে।’তারা আরও বলেন, ভারতীয় জেলেরা বাংলাদেশের জলসীমায় ঢুকে আমাদের ঠিকমতো জাল ফেলতে দেয় না। তাদের কথা না শুনলে ওয়্যারলেসের মাধ্যমে অন্য ট্রলার জড়ো করে আমাদের ওপর হামলা চালায়। তাদের ট্রলার বেশি শক্তিশালী হওয়ায় আমরা পেরে উঠি না। যখন নৌবাহিনী টহল দেয় তখন তারা পালিয়ে যায়। নৌবাহিনী চলে গেলে তারা আবারো এসে মাছ ধরে।’

বাংলাদেশ মৎস্যজীবী টলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, র‍্যাব যেভাবে সুন্দরবন ও বঙ্গোপসাগর থেকে জলদস্যু নির্মূল করেছে ঠিক সেভাবে ভারতীয় জেলেদের দমন করতে না পারলে জেলেরা না খেয়ে মরবে। বঙ্গোপসাগরের পশ্চিম বয়ার কাছে নৌবাহিনীর স্থায়ী ক্যাম্প করলে দেশের জলসীমায় ভারতীয় জেলেরা ঢুকতে পারবে না। তাই সরকারের কাছে যাতে পশ্চিমের বয়ার কাছে নৌবাহিনীর স্থায়ী ক্যাম্প করার জোর দাবি জানান।

বরগুনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব বলেন, দেশে ইলিশের পরিমাণ বাড়াতে অসাধু জেলেদের আইনের আওতায় আনার পাশাপাশি নিষেধাজ্ঞার সুফলতা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতেও কাজ করছি। মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা চলাকালে জেলায় ৩৭ হাজার ৭০ জেলেকে ২৫ কেজি করে চাল দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, সাগরে যাতে জেলেরা নির্বিঘ্নে মাছ শিকার করতে পারে এ জন্য সব ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দেশের জলসীমায় ভিনদেশি জেলেদের প্রবেশ ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে থাকবে। ছবি সংগৃহীত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা