অবশেষে এ মাসেই চালু হতে যাচ্ছে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত মৈনট-গোপালপুর লঞ্চ সার্ভিস। লঞ্চ চলাচলের জন্য সব প্রস্ততি সম্পন্ন করেছে বিআইডব্লিউটিএ। লঞ্চও প্রস্তুত রয়েছে ঘাটে। এখন শুধু আনুষ্ঠানিকতার বাকি।
জানা যায়, অনেক দিন ধরেই শোনা যাচ্ছে দোহারের মৈনট থেকে চরভদ্রশন লঞ্চ সার্ভিসের কথা। সেই অপেক্ষার অবসান হতে যাচ্ছে চলতি মাসেই। ফরিদপুর উপজেলার সদরপুর, চরভদ্রশন ও নগরকান্দা উপজেলার মানুষের রাজধানীতে যাতায়াতের সুবিধার্থে ফরিদপুরের চরভদ্রশন গোপালপুর থেকে ঢাকার দোহারের মৈনটঘাট পর্যন্ত লঞ্চ সার্ভিসের সিদ্ধান্ত নেয় বিআইডব্লিউটিএ।
এরই মধ্যে বসানো হয়েছে টার্মিনাল। নদী ড্রেজিং, লঞ্চ ভাড়া নির্ধারণ, লঞ্চ চলাচলের সময়সূচিসহ অন্য আনুসাঙ্গিক কাজকর্ম ইতোমধ্যেই সম্পন্ন করেছে। মৈনটঘাট-গোপালপুরঘাটে চলাচলের জন্য লঞ্চও প্রস্তুত ১১টি। সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত প্রতি ৩০ মিনিট পর পর দু’টি টার্মিনাল থেকে গন্তব্যের উদ্দেশে ছাড়বে লঞ্চ।
মৈনটঘাটের বিআইডব্লিউটিএ দায়িত্বরত কর্মকর্তারা জানায়, নৌ পরিবহনমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে এ লঞ্চঘাটের উদ্ধোধনের পরই চালু হবে লঞ্চ সার্ভিস। এ জন্য তারা উদ্ধোধনের অপেক্ষায় দিন গুনছেন। এ মাসেই উদ্ধোধন হবে কিন্তু এখনো পর্যন্ত সেই কাঙ্ক্ষিত দিনটি ধার্য করা হয়নি। আগামী দু’এক দিনের মধ্যে জানা যাবে দিনক্ষণ।
এদিকে পরীক্ষামূলকভাবে কয়েকটি লঞ্চ যাতায়াত করেছে। পারাপারে ৪০ মিনিট সময় লাগবে। আর ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০ টাকা। পদ্মা সেতু চালু হলেও ফরিদপুরের সদরপুর, চরভদ্রশন ও নগরকান্দা এই তিনটি উপজেলার মানুষের রাজধানীতে যাতায়াতে সময় বাঁচবে বলে এই নৌ পথ চালুর উদ্যোগ নেয় কর্তৃপক্ষ।
Leave a Reply