ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার বাগমারা বাজার ও বক্সনগর এলাকায় ছয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। মঙ্গলবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন নবাবগঞ্জ উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. আ. হালিম।
এ সময় বাগমারা বাজারের চালের দোকান ও মুদি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ১১ হাজার টাকা ও হলিউডে মিনি চাইনিজ এন্ড পার্টি সেন্টার, রোজ ভিউ রেস্টুরেন্ট এবং কফি হাউজ চাইনিজ এন্ড পার্টি সেন্টার কে ৪০ হাজার টাকা এবং বক্সনগর এলাকার হাই লাইফ বেকারি এন্ড ফুড প্রডাক্ট কারখানা প্রতিষ্ঠানকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।জানা যায়, উপজেলার প্রতিটি দোকানী ও আড়তদারদের খাদ্যের পরিবেশ বান্ধব পাটের বস্তা ব্যবহার করার জন্য আইনগত বাধ্যবাধকতা প্রতিপালন সম্পর্কে বিভিন্নভাবে উৎসাহিত ও অবগত করা হলেও তারা অনেকেই প্লাস্টিকের বস্তা ব্যবহার অব্যাহত রেখেছেন। এজন্য পণ্যের পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন ২০১০ এর আওতায় উপজেলার বাগমারা বাজারে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়। এসময় ২ জন ব্যবসায়ীকে ১১ হাজার টাকা জরিমানা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এসময় অন্যান্য ব্যবসায়ীদেরকে সচেতন করা হয়েছে।
একই বাজারের হলিউডে মিনি চাইনিজ এন্ড পার্টি সেন্টার, রোজ ভিউ রেস্টুরেন্ট এবং কফি হাউজ চাইনিজ এন্ড পার্টি সেন্টার দীর্ঘদিন ধরে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার প্রস্তুত, ফ্রিজে কাচা মাংস, মাছ, ভাত, নুডুলস, বাসি চিকেন ফ্রাই ইত্যাদি একসাথে নোংরা পরিবেশে রাখার জন্য ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ অনুযায়ী ভ্রাম্যমান আদালত এর মাধ্যমে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
বড় বক্সনগর এলাকায় ‘হাই লাইফ বেকারি এন্ড ফুড প্রডাক্ট’ প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘদিন ধরে বিএসটিআই এর কোন লাইসেন্স না নিয়ে নীম্ন মানের বিভিন্ন ধরনের কেক, বিস্কুট ইত্যাদি খাবার তৈরি করে আসছিলো। শুধু তাই নয় বিএসটিআইয়ের অনুমতি ছাড়াই বিএসটিআইয়ের লোগো ব্যবহার করে আসছিলো। এসব অপরাধে বেকারির মালিক আইভি আক্তারকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা কাজে সহায়তা করেন নবাবগঞ্জ থানা পুলিশের সদস্যরা।
নবাবগঞ্জ উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. আ. হালিম বলেন এধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
Leave a Reply