ঢাকার কেরানীগঞ্জ উপজেলায় ছয় বছর বয়সী এক মাদ্রাসা ছাত্রী শিশুকে ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
শুক্রবার সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন র্যাব-১০ এর মহাপরিদর্শক মাহফুজুর রহমান।
গ্রেপ্তার আবদুল মঞ্জু (৪০) উপজেলার তারানগর ইউনিয়নের গুইটা কৃষ্ণনগর এলাকার বাসিন্দা।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ছয় বছর বয়সী ভুক্তভোগী শিশুটি কেরাণীগঞ্জের ভাড়া বাসায় মা-বাবার সঙ্গে বসবাস করতেন। ভিকটিমের মা-বাবা তাকে লেখাপড়া করার জন্য গ্রেপ্তার ওই ব্যক্তির বাড়িতে তার স্ত্রীর প্রতিষ্ঠিত একটি মহিলা মাদ্রাসায় ভর্তি করেন। এ মাসের ১৬ তারিখ (শনিবার) সকাল ০৮টায় শিশুটির মা প্রতিদিনের মতো মেয়েকে পড়াশুনা করার জন্য মাদ্রাসায় দিয়ে বাসায় চলে আসেন। সোয়া ১০টার দিকে সে মেয়েকে টিফিন খাওয়ানোর উদ্দেশ্যে মাদ্রাসায় গেলে দেখতে পান ক্লাসের শিক্ষিকা ও সকল ছাত্রীরা টিফিনের জন্য যে যার বাসায় চলে গেছে এবং তার মেয়েও ক্লাসে নেই। মেয়েকে খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে শিশুটির চিৎকার শুনে মাদ্রাসার কেবিনে সামনে গিয়ে দেখতে পান উক্ত মাদ্রাসার শিক্ষিকার স্বামী মঞ্জু তার মেয়েকে জোরপূর্বক ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করছে। এরপর মঞ্জু শিশুটির মাকে ধাক্কা দিলে ফেলে দিয়ে সেখান থেকে দৌড়ে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় শিশুটির মা ঘটনার দিন রাতেই মঞ্জুকে আসামি করে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় মামলা করলে পুলিশ চিকিৎসা ও মেডিকেল পরীক্ষার জন্য শিশুটিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
উক্ত ঘটনার সংবাদ পেয়ে র্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল উক্ত শিশু ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে ছায়া তদন্ত শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আজ (শুক্রবার) রাজধানীর কাফরুল থানাধীন মিরপুর-১৩ সি-ব্লক এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে মঞ্জুকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে শিশুটিকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। পরে আসামীকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয় বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো
Leave a Reply