দেশের বিদ্যুতের বড় একটি অংশ গিলে খাচ্ছে ব্যাটারিচালিত রিকশা। দীর্ঘদিন ধরে এই রিকশা বন্ধের কথা বলা হলেও তা আলোর মুখ দেখেনি। চালকদের দাবি, এলাকার প্রভাবশালীদের সহায়তায় টাকার বিনিময়ে কাঙ্ক্ষিত কার্ড পেলেই চালানো যায় এ যান। এলাকার জনপ্রতিনিধিদের অভিযোগ, ওপর মহলের কিছু কর্মকর্তার কারণে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধ হচ্ছে না।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শহরের ক্যানসাররূপী এই রিকশা বন্ধই একমাত্র সমাধান নয়।
সারাদেশে শুধু ব্যাটারিচালিত রিকশা আছে ৪ থেকে ৫ লাখ। ঢাকায় আছে প্রায় ৫০ হাজার। এর মধ্যে দক্ষিণ সিটিতেই রয়েছে ৭৫ ভাগ। গ্রামে আরও বেশি
পরিসংখ্যান বলছে, একটি রিকশা প্রতিদিন চার্জ বাবদ খরচ করছে পাঁচ ইউনিট বিদ্যুৎ; যা মাসে দাঁড়ায় ১৫০ ইউনিটে। এই বিদ্যুৎ দিয়ে এক মাস চলতে পারত একটি ছোট পরিবার।
দেশে বিদ্যুতের এই ঘাটতির দিনেও এসব যান নিয়ে কোনো মাথাব্যাথা নেই কারোরই।
এই জনপ্রতিনিধি বলছেন, অপশক্তির বাধার মুখে বার বার চেষ্টা করেও বন্ধ করা যায়নি ব্যাটারিচালিত রিকশা।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৭২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শফিকুল আলম শামীম বলেন, আমরা বার বার এটা বন্ধ করার চেষ্টা করেছি। আমরা অনেক ক্ষেত্রেই অনেক কিছু নিয়ে আমরা ব্যর্থ হই। কিছু কর্মকর্তা এগুলোর সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত। অবৈধ এই রিকশা উচ্ছেদের জোর দাবি জানাচ্ছি।
বিশেষজ্ঞরা জানান, ডিজিটালাইজেশনের যুগে কোনো সুবিধা বাদ না দিয়ে সমন্বয় করে এগিয়ে যেতে হবে।
শুধু বিদ্যুতই না, দুর্ঘটনা বৃদ্ধি ও যানজট তৈরি করছে ব্যাটারিচালিত রিকশা। তাই দ্রুত এসব যানবাহনের চলাচল নিয়ন্ত্রণের দাবি সচেতন মহলের। তথ্য ও ছবি সংগৃহীত।
Leave a Reply