সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন- প্রতিনিধি দলের প্রধান বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক জিন লুইস, জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিল-ইউএনএফপিএ বাংলাদেশের প্রতিনিধি ক্রিস্টিন ব্লখুস, বাংলাদেশে ইউনিসেফ প্রতিনিধি মি. শেলডন ইয়েট, ব্রিটিশ হাইকমিশনের ডেভেলপমেন্ট ডিরেক্টর এফসিডিও মাট ক্যানেল, ইউরোপীয় কমিশন বাংলাদেশের প্রতিনিধি ইসাবেলা ডা’ডট এবং স্টার্ট ফান্ড বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার সাজিদ রায়হান।
জিন লুইস বলেন, সিলেট বিভাগের সুনামগঞ্জ জেলার যেসব এলাকা পরিদর্শন করেছি, সেখানে এখনো শুধু পানি আর পানি। এ আকস্মিক বন্যায় সিলেট বিভাগের চার জেলাসহ দেশের মোট ৯টি জেলার ৭ দশমিক ২ মিলিয়ন (প্রায় ৭২ লাখ) মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৯টি জেলার মধ্যে সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ময়মনসিংহ, শেরপুর। এর মধ্যে সিলেটে বেশি পানি হলেও বন্যা মোকাবিলায় মানুষের তুলনামূলক সক্ষমতা ছিল। তবে সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোনার অবস্থা সবচেয়ে বেশি ভয়াবহ।
তিনি আরও বলেন, বন্যায় ১ হাজার ৬০৫টি আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় ৫ লাখ লোক বসবাস করছে, যারা গৃহহীন হয়েছেন। আশ্রয়কেন্দ্রে নারী ও মেয়েরা বেশি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছেন। স্যানিটেশন ব্যবস্থা নাজুক। এছাড়া বন্যাদুর্গত এলাকায় সন্তানসম্ভবা প্রায় ৬০ হাজার নারী আমাদের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন।
Leave a Reply